কিভাবে বুঝবেন সুগার ফল করেছে?
যারা সুগারের ট্যাবলেট খান বা যারা ইনসুলিন ইনজেকশন নেন, তারা কিভাবে বুঝবেন যে তার সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নীচে নেমে গেছে? বা কি বিপদ সংকেত পেলে - গ্লুকোজ বা চিনি খেয়ে নেবেন?
বন্ধুরা, যার আগে সুগার ফল করেছে, তিনি ভালোভাবেই জানেন- কি হয় শরীরের ভিতর।
যিনি নতুন ওষুধ শুরু করেছেন, বা আগে অভিজ্ঞতা নেই, উত্তরটা তার জানা ভীষণ জরুরী। আরো বেশী জরুরী তার বাড়ীর লোক, অফিস কলিগ বা যাদের সাথে বাসে ট্রেনে যাতায়াত করেন। কারন, সুগার ফল করতে পারে যে কোন সময়, যে কোন জায়গাতে। জারা সুগারের ওষুধ নেন, তাদের পকেটে একটা চিরকুট সবসময় রাখা উচিত, যাতে লেখা থাকবে
নাম, বাড়ীর ঠিকানা, টেলিফোন নং, কি ওষুধ তিনি খান, চিনি বা মিষ্টি খাওয়ানোর কথাটা। সারাজীবনে চিরকুট-টা কাজে নাও লাগতে পারে, কিন্তু যদি একবারও যদি কেউ বাসে- ট্রেনে -রাস্তায় - অফিসে বা বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে যান (সুগার ফল-এর কারনে) ওই চিরকুট টা জীবন বাঁচিয়ে দেবে। অজ্ঞান না হলেও, অনেক পেশেন্ট সুগার ফল করলে "হতভম্ব" মেরে যান। তিনি কে, কোথায় বাড়ী, কি অসুখ - কিছুই বলতে পারেন না। তখন ওই চিরকুট কাজে আসতে পারে।
বিপদ সংকেত - Warning Signal :
Shakiness : শরীরে কম্পন অনুভব
Irritability : অস্থিরতা
Confusion: বিহ্বল / হতভম্ব ভাব
Sweating : অকারনে ঘাম হওয়া
Black out : চোখে অন্ধকার দেখা
Light headedness মাথা হাল্কা বোধ করা
* Tachycardia: বুক ধড়ফড় করা, হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া
* Hunger : ক্ষুধা পাওয়া।
* বাড়াবাড়ি (severe hypoglycemia) ক্ষেত্রে---
+খিঁচুনি- convulsion,
+কোমায় চলে যাওয়া - Coma,
+এমনকি জীবন-হানি- হতে পারে - Death.
সাধারণত এগুলি হয়। তবে মানুষ এর শরীর বলে কথা। আরো অন্যকিছুও হতে পারে।
আবার এর কোনোটা নাও হতে পারে। সরাসরি কোন বিপদ সংকেত ছাড়াই পেশেন্ট কোমায় চলে যেতে পারে, অজ্ঞান হতে পারে, এমনকি মৃত্যু হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস বহুদিনের - নার্ভ ড্যামেজ হয়ে গেছে- স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে Autonomoc Dysfunction. এমন ঘটনা ঘটলে রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ানো দরকার তাহলে প্রাণ ঘাতি বিপদ এড়ানো যেতে পারে।
( তথ্যসূত্র : American Diabetes Association)
এত ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।